কলকাতা 

জামিন পেলেন না মানিক, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে তিন কোটি আদালতে দাবি ইডির, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি সব সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে আদালতে অভিযোগ কেন্দ্রীয় এজেন্সির, আর কি কি তথ্য পেশ করল আদালতে ইডি? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : জামিন পেলেন না তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তাকে আগামী ২৮ শে অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে বলে আজ মঙ্গলবার আদালত রায় দিয়েছে। উল্লেখ্য ইডি হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে আজ আদালতে তোলা হয়। সেখানে ইডির আইনজীবী অভিযোগ করেন যে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর নামে একটি জয়েন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। মানিক ভট্টাচার্য ভট্টাচার্যের স্ত্রীর সঙ্গে যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে সেই মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী মহাশয় ২০১৬ সালে মারা গেছেন। তারপর এখনো পর্যন্ত সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন টিকিয়ে রাখা হয়েছে এবং সেই অ্যাকাউন্টে প্রায় তিন কোটি টাকা রয়েছে বলে ইডি আদালতে অভিযোগ করেছে।

ইডি আদালতকে জানিয়েছে, যে ব্যক্তির সঙ্গে ব্যাঙ্কে মানিকের স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁর নাম তাঁর নাম মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। তিনি ২০১৬ সালেই মারা গিয়েছেন। অথচ এখনও অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। বরং সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কয়েক কোটি টাকাও, যা ইডির আইনজীবীর কথায়, তছরুপেরই অর্থও হতে পারে।

Advertisement

টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিককে আদালতে পেশ করা হয়েছিল মঙ্গলবার। মানিককে জেল হেফাজতে রেখে জেরা করার আবেদন জানায় ইডি। সেখানেই মানিকের স্ত্রী সম্পর্কে ইডির দেওয়া তথ্য জানার পর মানিকের জেল হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। মানিককে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিকের বিরুদ্ধে এর আগে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছে ইডি। সম্প্রতি মানিকের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে রাজ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগও এনেছিল তারা। তবে এ বার অভিযোগ উঠল মানিকের স্ত্রী-র অ্যাকাউন্ট নিয়েও।

ইডির অভিযোগ ছিল, মানিকের নামে প্রচুর বেনামি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁর ছেলে শৌভিকের নামেও বিপুল সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা জানিয়েছিল রাজ্যের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের থেকে মানিক-পুত্রের সংস্থা এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল। এ বার মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও নিয়ম না মেনে কোটি কোটি টাকা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ